হাতের মুঠোর ওএস যুদ্ধ
স্মার্টফোন বা এ জাতীয় ডিভাইস কিনতে গেলে কোন অপারেটিং সিস্টেমে সেটি চলছে, এখন সে খোঁজটিই আগে চলে। এক দশক আগেও স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম বলতে উল্লেখ করার মতো কিছুই ছিলো না। সম্প্রতি ডিভাইস নির্মাতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেমেই। এর ফলে দ্রুত এবং ক্রমাগত উন্নত হয়েছে অপারেটিং সিস্টেম। এখন হাতে ব্ল্যাকবেরি মোবাইল, আইপড টাচ বা অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট যাই চলুক না, কোনো সবই বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর। এখন বাজারে ৫টি হাই প্রোফাইল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যেগুলোতে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে খুব অল্প সময়ে। এরকম ৫ টি অপারেটিং সিস্টেম নিয়েই এবারের মেইন বোর্ড।
অপারেটিং সিস্টেম
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার বা হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম বলতে ওই ডিভাইসগুলোতে ব্যবহৃত ও প্রযোজনীয় ফাংশনগুলোর সমন্বয় বোঝায়; যাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা সম্ভব হয়। এটি হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সফটওয়্যারের সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। উইন্ডোজ, লিনাক্স, ইউনিক্স, ও ম্যাক ওএস প্রচলিত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলি চালানোর কাজটি করে। অপারেটিং সিস্টেমকে এখন আমরা কম্পিউটারের ইন্টারফেস হিসেবেই দেখতে পাই।
বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম :আইওএস
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের কথা ধরা হলে সবার আগে বলতে হয় টেক জায়ান্ট অ্যাপলের তৈরি সফটওয়্যার আইওএস ৫.০ এর কথা। অ্যাপলের তৈরি এ অপারেটিং সিস্টেমটিতে অসংখ্য নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। এসব ফিচারের মধ্যে রয়েছে আইমেসেজ, নোটিফিকেশন সেন্টার, টুইটার. ব্রাউজার উন্নয়ন, লক স্ক্রিনে ক্যামেরা ব্যবহার, ভলিউম কি থেকে ছবি তোলার অপশন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাটি হচ্ছে কম্পিউটার সংযোগ ছাড়াও আইওএস নির্ভর ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ। আইক্লাউড প্রযুক্তি এ অপারেটিং সিস্টেমকে আরো উন্নত করেছে।
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের কথা ধরা হলে সবার আগে বলতে হয় টেক জায়ান্ট অ্যাপলের তৈরি সফটওয়্যার আইওএস ৫.০ এর কথা। অ্যাপলের তৈরি এ অপারেটিং সিস্টেমটিতে অসংখ্য নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। এসব ফিচারের মধ্যে রয়েছে আইমেসেজ, নোটিফিকেশন সেন্টার, টুইটার. ব্রাউজার উন্নয়ন, লক স্ক্রিনে ক্যামেরা ব্যবহার, ভলিউম কি থেকে ছবি তোলার অপশন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাটি হচ্ছে কম্পিউটার সংযোগ ছাড়াও আইওএস নির্ভর ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ। আইক্লাউড প্রযুক্তি এ অপারেটিং সিস্টেমকে আরো উন্নত করেছে।
উইন্ডোজ ফোন ম্যাংগো
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ম্যাংগো এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটকে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে। তবে, উইন্ডোজ ম্যাংগোকে যে ধরনের প্রশংসা করা হয়েছে এখনো এটির প্রতি তেমন আগ্রহ তৈরি হয়নি ডিভাইস নির্মাতাদের। এর কারণ হচ্ছে মাইক্রোসফট ম্যাংগো আনতে এক বছর দেরি করে ফেলেছে। ম্যাংগো নামের এ অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে মাল্টি-টাস্কিং, টুইটার, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯ ব্রাউজার সুবিধা, ভয়েস নেভিগেশন, থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা, লেকাল স্কাউট নামের নতুন একটি ফিচার। এ ফিচারটি লোকেশনভিত্তিক সুবিধা দেবে। ম্যাংগোর ইউজার ইন্টারফেসে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবধরনের উইন্ডোজ ফোনেই ম্যাংগো চলে আসবে ২০১২ সাল নাগাদ।
সিমবিয়ান অ্যানা
ফিনিশ মোবাইল জায়ান্ট নকিয়ার বহুল ব্যবহৃত সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমকে টাচ প্রযুক্তিতে যাবার আগে বেশ প্রতিকুলতার মুখোমুখিই হতে হয়েছে। বাজারে যখন অন্যান্য অনেক অপারেটিং সিস্টেম চলে এসেছে তখন সিমবিয়ানকেও টিকে থাকতে নতুন সংস্করণে আনতে হয়েছে নকিয়াকে। তিন বছর আগেও অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে শীর্ষে ছিলো সিমবিয়ান। কিন্তু প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে সিমবিয়ানের নতুন সংস্করণ অ্যানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো নকিয়া। সিমবিয়ানের নতুন সংস্করণ অ্যানার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উন্নত ব্রাউজার, ট্যাব এবং মাল্টি-টাচ সুবিধা। এতে আরো রয়েছে উজ্বল রঙিন আইকন, এবং আনুভূমিক অনস্ক্রিন কোয়ার্টি টাচস্ক্রিন কিবোর্ড সুবিধা। উন্নত ম্যাপ, মাল্টিমিডিয়া এবং সাধারণ ফাংশনগুলো মিলিয়ে এতে রয়েছে উন্নত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সুবিধাও। তবে, অ্যানা কেবল নকিয়ার হাইএন্ড স্মার্টফোনগুলোতেই ব্যবহৃত হচ্ছে। নকিয়া ই৬ এবং এক্স৭ এ ইতোমধ্যে অ্যানা সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে।
অ্যান্ড্রয়েড হানিকম্ব
অ্যান্ড্রয়েড হানিকম্ব (৩.০) কে ধরা হচ্ছে এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ট্যাবলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পছন্দ। আইপ্যাডের বাজার দখল করতে অ্যান্ড্রয়েডের হানিকম্বনির্ভর ডিভাইসগুলো সক্ষম হবে বলেই বাজার বিশ্লেষকদের মত। তবে, বাজার বিশ্লেষকদের ডেটা ভূল প্রমাণ করেছে এই ওএস। এটি বাজারে এসেছে অনেকদিন আগেই তবুও এটি তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি। এদিকে, সার্চ জায়ান্ট গুগল অ্যান্ড্রয়েডের উন্নতি করতে মোটরোলার মোবিলিটি অংশ কিনে নিয়েছে। তাই বাজার বিশ্লেষকরা আবারও নড়েচড়ে বসেছেন। তাদের ধারণা হানিকম্বে নতুন আপডেট যোগ হবে। ধারাবাহিকভাবে হানিকম্বের ৩.১ সংস্করণটিতে যোগ হয়েছে মসৃণ নেভিগেশন সুবিধা, উন্নত মাল্টিটাস্কিং, ব্রাউজার ও মেইলের মতো সাধারণ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বাড়তি ক্ষমতা। এদিকে, অ্যান্ড্রয়েড ৩.২ নির্ভর ডিভাইসও বাজারে চলে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াইয়ের মিডিয়াপ্যাড এবং এসারের আইকনিয়া ট্যাব। তবে, নতুন সংস্করণের এ অপারেটিং সিস্টেমে ফিচারের তেমন কোনো আপডেট ঘটেনি। এতে শুধু ছোটো ডিভাইসগুলোতে অ্যাপ্লিকেশন জুম করার সুবিধাটিই চোখে পড়ার মতো।
ব্ল্যাকবেরি ৭
রিসার্চ ইন মোশন (রিম) তাদের ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেমকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে নতুন ফর্মুলা খুঁজছে। রিম কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্ল্যাক ওএস ৭.০ ই হবে সে ফর্মুলা। তবে, একে ওএস ৭.০ বলা হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন এটি ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম ৬.১ এর বড়ো আকারের সংস্করণ। নতুন সংস্করণটিতে দুটি আলাদা অংশ থাকছে। একটি হচ্ছে আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেস, দ্রুতগতির ব্রাউজার, ভয়েস সার্চ সুবিধা এবং ব্ল্যাকবেরি ব্যালান্স নামের নতুন ফিচার যা পেশাদার এবং ব্যাক্তিগত কনটেন্ট আলাদাভাবে ডিভাইসে রাখা যাবে। এতে নিরপত্তা এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোও যোগ হয়েছে। পাশাপাশি এইচডি (হাই ডেফিনিশন) গেমও যোগ করার পরিকল্পনা করেছে রিম।
রিসার্চ ইন মোশন (রিম) তাদের ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেমকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে নতুন ফর্মুলা খুঁজছে। রিম কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্ল্যাক ওএস ৭.০ ই হবে সে ফর্মুলা। তবে, একে ওএস ৭.০ বলা হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন এটি ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম ৬.১ এর বড়ো আকারের সংস্করণ। নতুন সংস্করণটিতে দুটি আলাদা অংশ থাকছে। একটি হচ্ছে আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেস, দ্রুতগতির ব্রাউজার, ভয়েস সার্চ সুবিধা এবং ব্ল্যাকবেরি ব্যালান্স নামের নতুন ফিচার যা পেশাদার এবং ব্যাক্তিগত কনটেন্ট আলাদাভাবে ডিভাইসে রাখা যাবে। এতে নিরপত্তা এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোও যোগ হয়েছে। পাশাপাশি এইচডি (হাই ডেফিনিশন) গেমও যোগ করার পরিকল্পনা করেছে রিম।
0 comments:
Post a Comment