AD

শিক্ষা বোর্ড নির্ধারণ করে দিবে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা কোন কলেজে ভর্তি হবে

একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা কোন কলেজে ভর্তি হবে—তা নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে শিক্ষার্থীর আবেদনের পছন্দক্রম থেকে একটি কলেজ নির্ধারণ করা হবে; যেখানে শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে। আর ভর্তির পুরো কাজটি হবে অনলাইনে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আন্তশিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে এবারও ভর্তির মূল যোগ্যতা হবে আগের মতোই এসএসসির ফল।
আগে যেভাবে আবেদন করা হতো:
এত দিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য টেলিটকের খুদে বার্তায় আবেদন করা হতো। প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে হতো। একজন শিক্ষার্থী তার ইচ্ছা অনুযায়ী আবেদন করতে পারত। তবে প্রতিটি আবেদনের জন্যই টেলিটকের মাধ্যমে ১২০ টাকা দিতে হতো।
নতুন নিয়মে যেভাবে আবেদন করতে হবে:
আন্তশিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন ভর্তি প্রক্রিয়ার কাজটি করবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী বোর্ডের নির্ধারণ করা ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করবে। আবেদনে পছন্দক্রম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজের নাম দেওয়া যাবে। এ জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে। এরপর কলেজগুলোর আসন ও যোগ্যতা অনুযায়ী তারা (বোর্ড) আবেদনকারীদের এসএসসির ফল যাচাই করে পছন্দক্রম অনুযায়ী ভর্তির জন্য একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেবে। তবে শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়ে পছন্দক্রম পরিবর্তনেরও সুযোগ রাখা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে শুধু টাকা জমা দিলেই একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। বিষয়টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সঙ্গে মিল আছে।
আবেদনের সময়সীমা:
২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৬ জুন। চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। আর ফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন। আন্তশিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী http://www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি আগের মতো টেলিটকেও খুদেবার্তা পাঠিয়ে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ জন্য প্রতি আবেদনের (প্রতি কলেজের জন্য এক আবেদন) জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। আর অনলাইনে এক আবেদনেই পাঁচটি কলেজের নাম পছন্দক্রম অনুযায়ী দেওয়া যাবে। ফি ১৫০ টাকা। কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সবার জন্যই একই নিয়মে আবেদন করতে হবে।
পুরনো নিয়মও চালু থাকবে:
তবে বিকল্প উপায়ও রাখা হয়েছে কারণ বিষয়টি যেহেতু নতুন, তাই আগের মতো টেলিটকের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়েও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বেশি খরচ হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী যদি খুদে বার্তায় পাঁচটি কলেজে আবেদন করে, তাহলে তাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। আর অনলাইনে করলে ১৫০ টাকা দিয়েই সেটা সম্ভব। আগামী বছর থেকে খুদে বার্তার মাধ্যমে আবেদনের ব্যবস্থা থাকবে না, তখন সবকিছু হবে অনলাইনে।
দূরদূরান্ত ও মফস্বল এলাকার কথা বিবেচনা করে এবারও বিকল্প হিসেবে খুদে বার্তার মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথম আবেদনটিই প্রথম পছন্দক্রম, দ্বিতীয় আবেদনটি দ্বিতীয় পছন্দক্রম—এভাবে বাকিগুলোরও হিসাব ধরা হবে।
একজন শিক্ষার্থী আবেদন করা পাঁচটি কলেজের কোনোটিতেই ভর্তির যোগ্য হলো না, সে ক্ষেত্রে অন্য কলেজে ভর্তি হবে। কারণ, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে বেশি কলেজে আবেদন করে না। এ ছাড়া আসনও পর্যাপ্ত রয়েছে। যেমন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন একাদশ শ্রেণিতে মোট আসন আছে সাড়ে চার লাখ। বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ। ফলে সমস্যা হবে না।
Share on Google Plus

About Nerob Tuner

Yo, I'm Nerob Tuner. I am a freelance web designer based in Dhaka, Bangladesh. When not geeking out over design, I'm likely geeking out over film, technology or pretending to play the guitar.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment