হলান্ডের গ্যেইথহর্ন |
এমন একটা গ্রামে যদি হয়, যেখানে কোনো রাস্তা নেই, তাহলে
খুব অবাক হবেন, তাই না? যদি তাই হয়, তাহলে এবার
আপনার অবাক হওয়ার পালা। কারণ আজ আমি আপনাদের
এমন একটা গ্রামের কথা বলব যে গ্রামে আসেলই কোনো রাস্তা নেই, । সে গ্রামের নাম গ্যেইথহর্ন হলান্ডের এই গ্রামের
বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্য
নদীপেথর ওপর সম্পূর্ন নির্ভর করেন। কারণ তাদের প্রত্যেকের বাড়ির
সামনে দিয়ে চলে গেছে খুব সূন্দর একটি খাল। এই খাল দিয়েই গ্যেইথহর্ন বাসী তাদের যাতায়াত
এবং মালামাল পরিবহনের কাজ সারেন। এই গ্রামের প্রতিটি পরিবারে দুই তিনটি নৌকা আছে।
কোনটি মালামাল পরিবহনের জন্য তো কোনটি নিজেদের যাতায়াতের জন্য। খালের এপার থেকে
ওপারে যাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য সাঁকো। তে সুন্দর এই খালটি কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি নয়।
গ্যেইথহর্ন বাসী
নিজেরা মিল এটি বানিয়েছেন। সে কারনে এটি তাদের অত্যন্ত প্রিয়। খালের পানি পরিষ্কার রাখার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। আমাদের মতো দৈনন্দিন ময়লা আবর্জনা তারা পানিতে ফেলেন
না। এমনিক খালের পানিতে গোসল করা, থালাবাটি, কাপড়েচাপড়
ধোয়ার মতো কাজ থেকেও তারা বিরত থাকেন।
আর্থিক সক্ষমতা থাকার পরেও গ্রামবাসীদের কারও গাড়ি নেই। তাই নেই কোনো কালো ধোঁয়ার
ঝামেলা কিংবা হর্ণেরর বিকট শব্দ। নৌকা চালাতে চালাতে গ্রামবাসীদের কেউ যদি বোর হেয় যান
তাহেল তাদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য আছ খুব সরু পিচ ঢালা রাস্তা। রাস্তাটা এতই সরু যে সেখান
দিয়ে সাইেকল ছাড়া আর কোনো বাহন চালানো সম্ভব নয়। প্রাতভমণের জন্য কিবা কাছের
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গ্যেইথহর্নবাসীরা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ১৯৫৮ সালে ডাচ চিত্র নির্মাতা
ব্রেট হান্টার এখানে ফ্যান ফেয়ার নামে একটি কমেডি সিনেমা নির্মান করলে এই গ্রামের কথা
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে এটি পরযটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবছর অসংখ্য
পযটক গ্যেইথহর্ন বেড়ােত আসেন। ফলে এই গ্রামবাসীরা পযটন খাত থেকে প্রচুর পরিমাণে মুদ্রা আয় করে থাকেন। দেশ বিদেশের মানুষের আকর্ষণের কারণে সম্প্রতি এই গ্রামকে
মিউনিসিপালিটি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment