AD

জেনেনিন লিংকিন পার্ক ব্যান্ডের ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।
সবাই কে জানাই  ঈদ এর ঈদের শুভেচ্ছা  ঈদ মোবারক   আজকের ঈদ শুভেচ্ছা নিয়ে এই পোষ্টটি ।
এই ঈদে সারা বিশ্বের আলোড়নকৃত LINKIN PARK ব্যান্ডের অ্যালবাম এর গানে মেতে উঠুন ঈদ আনন্দে । জেনেনিন লিংকিন পার্ক ব্যান্ডের ইতিহাস । লিনকিন পার্কের অন্যতম স্বকীয়তা হল তাদের অনবদ্য সৃজনশীলতা ও ব্যতিক্রমধর্মিতা।এই ব্যান্ডের মিউজিক ভিডিওগুলোতে যে রকম বৈচিত্র্য ও ব্যতিক্রমের সমাহার পাওয়া যায় তা অন্য কোনো ব্যান্ডে পাওয়া দুষ্কর।

Given Up

It’s Going Down BY LINKIN PARK

লিংকিন পার্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস এঞ্জেলেস শহরে অবস্থিত রক ব্যান্ড। তাদের প্রথম অলবাম হাইব্রিড থিওরি-র (২০০০) জন্য তারা নুমেটাল ধারার ব্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবসাসফল ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছে। হাইব্রিড থিওরি সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৯ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। লিংকিন পার্ক বর্তমানে ওয়ার্নার ব্রাদার্স রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ। লিংকিন পার্ক ২০০০ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরির-র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করে, এই অ্যালবামটিকে আমেরিকান রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ডায়মন্ড হিসেবে প্রত্যায়ন করে। এর পরবর্তি অ্যালবাম মিটিওরা ব্যান্ডটির সাফল্য অক্ষুন্ন রাখে এবং এটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে শীর্ষস্থান দখল করে। এছাড়া এই অ্যালবামের প্রচারে লিংকিন পার্ক ব্যাপক দাতব্য কার্যক্রম ও বিভিন্ন দেশে ট্যুরিং করে। ২০০৩ সালে এমটিভি২ লিংকিন পার্ককে মিউজিক ভিডিও যুগের ষষ্ঠ সেরা ব্যান্ডের স্বীকৃতি দেয় এবং নতুন শতাব্দীর তৃতীয় সেরা ব্যান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে।
8728 linkinpark সারা বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারি জনপ্রিয় ব্যান্ড LINKIN PARK এর
ব্যান্ডের ইতিহাস
প্রাথমিক ইতিহাস (১৯৯৬-১৯৯৯)
তিন হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্র মাইক শিনোডা, ব্র্যাড ডেলসন এবং রব বুর্ডন লিংকিন পার্ক প্রতিষ্ঠা করে। হাইস্কুল পাশ করার পর তারা সঙ্গীতের প্রতি আরো বেশি মনোনিবেশ করলো। এসময় তারা জো হান নাম, ডেভ ফিনিক্স এবং মার্ক ওয়েকফিল্ডকে ব্যান্ডে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তাদের ব্যান্ডের নাম ছিল জেরো। প্রথমদিকে তাদের তেমন কোনো সঙ্গীত সরঞ্জাম ছিল না, ১৯৯৬ সালে তারা মাইক শিনোডার শোবার ঘরে এক ছোট স্টুডিওতে গান তৈরি করা শুরু করে। যখন তারা কোন রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারল না তখন তারা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল এবং হতাশ হল। ব্যর্থতা এবং অচলাবস্থার কারণে তখন ভোকাল ওয়েকফিল্ড ব্যান্ড ছেড়ে দেয়। ফিনিক্স ও স্ন্যাক্সও অন্য কোন ব্যান্ডে যোগ দেবার আশায় ব্যান্ড ত্যাগ করে
 ওয়েকফিল্ডের স্থানে অন্য কাউকে ভোকাল হিসেবে নিয়োগ দেবার জন্য জেরোর বেশ সময় লাগে। এসময় তারা অ্যারিজোনার ভোকাল চেস্টার বেনিংটনকে ব্যান্ডে নেয়। জমবা মিউজিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেফ ব্লু বেনিংটনকে জেরোর সন্ধান দেয় ১৯৯৯ সালে। বেনিংটন, যার পূর্বে নাম ছিল গ্রে ডেজ; অসাধারণ গান গাওয়ার অনন্য শৈলীর কারণে ভোকাল হিসেবে আবেদনকারীদের মধ্যে বিশিষ্ট হয়ে উঠে। এসময় ব্যান্ডটি জেরো হতে তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখে হাইব্রিড থিওরি। শিনোডা এবং বেনিংটনের আসাধারণ সমন্বয়ের কারণে ব্যান্ডটি অচলাবস্থা থেকে জেগে উঠে এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে। এই জাগরণের ফলে তারা তাদের ব্যান্ডের নাম হাইব্রিড থিওরি থেকে পরিবর্তন করে রাখে লিংকিন পার্ক। এসমস্ত পরিবর্তন সত্ত্বেও তারা কোন রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে ব্যর্থ হয়। কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি সাথে চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়ার পর তারা জেফ ব্লুর কাছে সাহায্যের আশায় যায়। পূর্ববর্তি তিনবার ব্যর্থতার পর জেফ ব্লু লিংকিন পার্ককে ১৯৯৯ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে সাহায্য করে। পরের বছর লিংকিন পার্ক তাদের পক্ষে অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনা অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরি প্রকাশ করে।
Linkin.Park সারা বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারি জনপ্রিয় ব্যান্ড LINKIN PARK এর
হাইব্রিড থিওরি (২০০০-২০০২)
২০০০ সালের ৪ অক্টোবরে লিংকিন পার্ক তাদের প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরি প্রকাশ করে। অ্যালবামটি লিংকিন পার্কের বিগত দশ বছরের সাধনার ফল, এটি সম্পাদিত হয় সঙ্গীত প্রযোজক ডন গিলমোর কর্তৃক। লিংকিন পার্কের জন্য হাইব্রিড থিওরি ছিল একটি ব্যাপক সাফল্য। প্রকাশের প্রথম বছরেই এটির ৪.৮ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় যা অ্যালবামটিকে ২০০১ সালের সবচেয়ে সফল অ্যালবামের স্বীকৃতি দেয়। এই অ্যালবামের ক্রলিং এবং ওয়ান স্টেপ ক্লোজার লিংকিন পার্ককে ঐ বছরের রেডিও প্লে-লিস্টের অন্যতম সফল অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়া অ্যালবামটির অন্যান্য গান বিভিন্ন সিনেমা যেমন- ড্রাকুলা ২০০০, লিটেল নিকি, ভ্যালেনটাইনে প্রদর্শিত হয়। হাইব্রিড থিওরি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের সেরা হার্ডরক শিল্পীর পুরস্কার জিতে এবং অন্য দুই পুরস্কার, গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড: সেরা নতুন শিল্পী ও সেরা রক অ্যালবামের মনোয়ন পায়। এমটিভি লিংকিন পার্ককে বেস্ট রক ভিডিও এবং বেস্ট ডিরেকশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে তাদের ইন দ্য ইন্ড গানের মিউজিক ভিডিও-এর জন্য। হাইব্রিড থিওরি লিংকিন পার্ককে সেরা হার্ড বিভাগে গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড এনে দেয় যা ব্যান্ডের সাফল্য ও খ্যাতিকে এক উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যায়।
এসময় লিংকিন পার্ক বিভিন্ন কনসার্টে অনেক বিখ্যাত ব্যান্ড ও শিল্পীদের সাথে গান করার আমন্ত্রণ পায়। এছাড়া লিংকিন পার্ক নিজেরাই প্রজেক্ট রিভোলুশন নামে একটি সঙ্গীত সফরের আয়োজন করে যেখানে বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য শিল্পীও গান করে। এক বছরের মধ্যে লিংকিন পার্ক ৩২০ এরও বেশি কনসার্টে গান করে। এত কম সময়ের মধ্যে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা লিংকিন পার্ক তাদের প্রথম ডিভিডি, ফ্র্যাট পার্টি অ্যাট দ্য প্যাঙ্কেল ফেস্টিভল এ লিপিবদ্ধ করে, এটি ২০০১ সালের নভেম্বরে প্রকাশ পায়। সাবেক বেস গিটারিস্ট ফিনিক্স এসময় আবার ব্যান্ডে যোগ দেয় এবং লিংকিন পার্ক রিএনিমেশন নামে একটি রিমিক্স অ্যালবাম প্রকাশ করে। ২০০২ সালে জুলাইয়ের ৩০ তারিখে এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। রিএনিমেশন বিলবোর্ডে দ্বিতীয় স্থান দখল করে এবং প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ২৭০,০০০ সংখ্যক কপি বিক্রি হয়।
মিটিওরা (২০০২-২০০৪)
হাইব্রিড থিওরি এবং রিএনিমেশনের ব্যাপক সাফল্যের পর লিংকিন পার্ক অনেকটা সময় ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সফর করে। এসময় তারা নতুন কিছু গানের সরঞ্জাম দিয়ে গান করে, সফরের সময় বাসে অবসর সময়েও তারা গান করে। লিংকিন পার্ক ঘোষণা দেয় যে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তার তাদের নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে যার নাম গ্রীসের পাহাড়ি অঞ্চল মিটিওরা-এর নামে রাখা হবে। এই অ্যালবামে তারা নিউ মেটাল এবং র্যা প রক ধরণের গানের বাইরেও অন্যান্য ধারার গান অন্তর্ভুক্ত করে। এখানে জাপানের এক বিশেষ বাশির কাজও রয়েছে। লিংকিন পার্কের এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালের ২৫শে মার্চ এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার চার্টে শীর্ষস্থান দখল করে।
প্রথম সপ্তাহেই মিটিওরা পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৮০০০০০ কপি বিক্রি হয়।ঐ সময়ে বিলবোর্ড চার্টে অ্যালবামটি সবছেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবামের খেতাব অর্জন করে। অ্যালবামের “সামহোয়্যার আই বিলং”, “ব্রেকিং দ্য হ্যাবিট”, “ফেইন্ট” এবং “নাম” গানগুলো রেডিওতে ব্যাপক সাফল্য পায়। ২০০৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে অ্যালবামটির প্রায় তিন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই সাফল্য লিংকিন পার্ককে আরেকটি প্রজেক্ট রিভোলুশন করতে উদ্বুদ্ধ করে যেখানে অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীরাও গান করে। তাছাড়া মেটালিকা লিংকিন পার্ককে আমন্ত্রণ জানায় সামার স্যানিটেরিয়াম ট্যুর ২০০৩ এ গান করার। এ কনসার্টে পৃথিবী বিখ্যাত অনেক ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে। এই সফরকালে টেক্সাসে তাদের করা গান নিয়ে লিংকিন পার্ক একটি অ্যালবাম এবং লিভ ইন টেক্সাস নামে ডিভিডি প্রকাশ করে। ২০০৪ সালের প্রথম দিকে পৃথিবীব্যাপী সঙ্গীত সফরের আয়োজন করে, এর নাম মিটিওরা ওয়ার্ল্ড ট্যুর।
মিটিওরা লিংকিন পার্ককে বেশ কয়েকটি পুরস্কার এবং সম্মান এনে দেয়। এমটিভির সেরা রক ভিডিও পুরস্কার ব্যান্ডটি অর্জন করে। এছাড়া তারা ভিউয়ার্স চয়েস এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে তাদের ব্রেকিং দ্য হ্যাবিট গানের মিউজিক ভিডিওর জন্য।
linkin park strips 5001177 সারা বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারি জনপ্রিয় ব্যান্ড LINKIN PARK এর
 


  বর্তমান ব্যান্ড সদস্য

* চেস্টার বিনিংটন – কন্ঠ।
* মাইক শিনোডা – কন্ঠ, রিদম গিটার, কি-বোর্ড, এমছি, বিট্‌স‌।
* ব্রাড ডেলসন – গিটার।
* ফিনিক্স – বেজ‌ গিটার।
* জোসেফ হান – টার্নটেবল, বিটস্‌, ডি.জে.।
* রব বুর্ডন – ড্রাম।
সর্ব শেষ এই ব্যান্ড এর একটি অ্যালবাম আছে নাম A Thousand Suns Tour by linkin park ডাউনলোড করুন এখান থেকে এখান থেকে
আরও ভিডিও গান দেখুন এখান থেকে http://www.youtube.com/user/linkinparktv

Share on Google Plus

About খালেদ সাইফুল্লাহ নীরব

Yo, I'm Nerob Tuner. I am a freelance web designer based in Dhaka, Bangladesh. When not geeking out over design, I'm likely geeking out over film, technology or pretending to play the guitar.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment