যদিও ইঁদুর অর্থাৎ মাউস সেই আদ্যিকাল থেকেই আছে। কিন্তু ১৯৬০ এর দশকের শেষ ভাগে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডগলাস এঙ্গেলবার্ট সর্বপ্রথম কম্পিউটার মাউস আবিষ্কার করেন। মাউস কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি হার্ডওয়্যার। কিন্তু সত্তরের দশকে এটি কেবল জেরক্সের কম্পিউটারে ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৮০ সালে অ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ সিরিজে প্রথম মাউসের ব্যবহার শুরু করেছিলো। এ হার্ডওয়্যারটিকে ব্যবহারের সুবিধার্থে ইঁদুর আকৃতি দেয়া হয়েছিলো। তাই এর নামও হয়ে যায় ‘মাউস’। এটি একটি ইনপুট ডিভাইস, এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম কমান্ড দেয়া যায়। মাউসের ফলে কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ইউজার ইন্টারফেস বা অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় হয়।
কম্পিউটার চালাতে গেলে হাতের কাছে থাকা ছোটো মাউসটির প্রয়োজন পড়ে সবার আগে। এ মাউস গুলো এখন কাজেও যেমন তেমনি নকশাতেও। আগে প্রতিটি মাউসের সঙ্গে লাগানো থাকতো তার। এখন তারবিহীনও মাউসও চলে এসেছে।
প্রথম কম্পিউটার মাউস
প্রথম কম্পিউটার মাউস তৈরি করেছিলেন গবেষক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট। এই মাউসটিতে লাগানো ছিলো একটি চাকা যা কোনো পৃষ্ঠে স্পর্শ করলে কম্পিউটার সে সংকেত গ্রহণ করতো। স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক এঙ্গেলবার্ট ১৯৬৩ সালে প্রথম মাউস উদ্ভাবন করেছিলেন। এ মাউসটি তৈরি করতে পঁচে যাওয়া পুরোনো টিন ব্যবহার করা হয়েছিলো।
ওয়াওপেন মাউস
ওয়াওপেনকে বলা হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের ইনপুট ডিভাইস। এটি দেখতে পেন বা কলমের মতো। এতে রয়েছে ২.৪ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের রেডিও তরঙ্গ প্রযুক্তি যা ৫০ মিটার দূর থেকেও কাজ করতে সক্ষম।
ধোয়া যায় এমন মাউস
মাউস ব্যবহার করলে এটি নোংরা হতে পারে। তখন প্রয়োজনে একে ধুয়ে পরিস্কার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট মাউসটিকে হাত দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে সাবান বা ডিটারজেন্টও ব্যবহার করা যাবে।
মাউস মাউস
এ মাউসগুলোর আকৃতি মাউস বা ইঁদুরের মতো। বিভিন্ন বর্ণের এবং আকৃতির মাউসগুলো চাইলে সত্যিকার ইঁদুর থেকে স্টাফ করেও তৈরি করা যায়।
মাস ২ কার্সর মাউস
প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আর্টেলবেদেভ ২০০৫ সালে মাস ২ ডিভাইসটির নকশা করেছিলো। অপটিক্যাল কর্ডলেস মাউসটির দুটি বাটন দেখতে একই রকম।
অ্যাক্রিলিক মাউস
এ মাউসটিকে অ্যাক্রিলিক অংশের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে বাটনের পরিবর্তে রয়েছে সিলিকন সিল স্প্রিং।
এয়ারক্রাফক মাউস
মহাকাশে নভোচারীরা যেমন রকেট বা মহাকাশযানে চড়ে বেড়াতে যান ঠিক সে আকৃতিরও মাউস বাজারে রয়েছে।
বাস্টি মাউস
এ মাউসটিকে বলা হচ্ছে আরামদায়ক একটি মাউস। এটি আনন্দের খোরাক হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
ইউএসবি ওর্য়ামারা মাউস
এটা সাধারণ মাউস নয়। এটি শীতের সময় হাতের তালু গরম রাখতে বা শীতল পরিবেশে উষ্ণতা দেবে। হিট ফাংশনে ক্লিক করলে মাউসটির ওপরের দিকটা গরম হবে।
ডিভাইসটি কম্পিউটার মাউস হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হয় তেমনি এটির ভাঁজ খুলে স্কাইপ মোবাইল ফোন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
জি পয়েন্ট মাউস
এ মাউসটিকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে অদ্ভুত মাউসের মধ্যে একটি যাতে ব্যবহারকারীর মনে আনন্দ জাগিয়ে দেবে।
0 comments:
Post a Comment